ইউনাইটেড হসপিটালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট সার্জন প্রফেসর ডা. আনিসুর রহমান সম্প্রতি একজন ৮০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ রোগীর ইনগুইনাল ব্লাডার হার্নিয়ার সার্জারি সম্পন্ন করেন। মানবশরীরের পেটের বাম-ডান দুদিকেই সামনে কুঁচকির কাছে অবস্থিত ইনগুইনাল ক্যানেলে অন্ত্রের নাড়ি ঢুকে গেলে তাকে ইনগুইনাল হার্নিয়া বলে। এই হার্নিয়ার মাত্র ১ থেকে ৫ শতাংশের ক্ষেত্রে অতিবিরল প্রকৃতির এ ইনগুইনাল ব্লাডার হার্নিয়া দেখা যায়, যা সাধারণত পুরুষ রোগীর ক্ষেত্রে শরীরের ডান দিকে ও বিশেষ করে মূত্রতন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর মধ্যেই বেশি দেখা যায়। তবে এ রোগীরও প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য আগেই প্রোস্টেট অপসারণ সার্জারি করা হয়েছে।
বিরল প্রকৃতির এই ইনগুইনাল ব্লাডার হার্নিয়ার অপারেশন সম্পর্কে অধ্যাপক আনিসুর রহমান বলেন, যেহেতু এ ধরনের হার্নিয়ার প্রকৃতি অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপারেশন চলাকালীনই নির্ণীত হয়, কাজেই সার্জন যথেষ্ট সতর্ক ও সচেতন না থাকলে হার্নিয়ার কারণে সৃষ্ট পেটের দুর্বল অংশ মেরামত করার সময় হার্নিয়া থলিতে অন্ত্রের নাড়ির সঙ্গে ঢুকে যাওয়া মূত্রাশয় বা ইউরিনারি ব্লাডারের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কেবল একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ সার্জনই রোগীর উপসর্গ ও রোগের পূর্ব ইতিহাস যাচাই করে কদাচিৎ পরিলক্ষিত এমন হার্নিয়ার ঝুঁকি বিবেচনায় রাখেন। এই রোগীর ক্ষেত্রে হার্নিয়ার থলিতে ঢুকে যাওয়া অন্ত্রের নাড়ি সতেজ ছিল এবং সেটির সঙ্গে সঙ্গে মূত্রাশয়টিও স্বস্থানে নিরাপদে পুনঃস্থাপিত করা হয়েছে।