পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মারধরের অভিযোগে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের দায়ের করা মামলায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায়সহ ৩জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
চেয়ারম্যানের সঙ্গে অন্য অভিযুক্তরা হলেন তার ছেলে মানিক চন্দ্র রায় ও সহযোগী কানাই চন্দ্র সেন।
গতকাল(২২ ডিসেম্বর) দুপুরের পর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
মারধরের অভিযোগে দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠী হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য সহিদুল ইসলাম চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন।
জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই ওই ইউনিয়নের নতুনহাট বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র রায়ের চেম্বারে স্থানীয় একটি বাজারের হাটশেড নির্মাণ নিয়ে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলামের তর্ক হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যকে মারধর করেন। তার ছেলে ও সহযোগীরাও সঙ্গে যোগ দেন।
এ সময় ইউপি সদস্য অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। গত ১৮ আগস্ট তিনি সুস্থ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওই ৩জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর পিবিআই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে।
গতকাল(২২ ডিসেম্বর) তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।