ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের নতুন ২টি ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে।
যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন ধরন ২টি পাওয়া গেছে। ২টি ধরনই অনেক বেশি সংক্রামক। এ কারণেই এদের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে।
ফাইজারের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য গবেষকরা ভাইরাসটির ২টি ধরন তৈরি করেছেন। ১টি ধরনে নতুন মিউটেশনটি ছিল, অপরটিতে ছিল না। এরপর সেগুলোকে ২০ জন রোগীর রক্ত নমুনার সঙ্গে মিশ্রিত করা হয় যাদেরকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছিল।
এর ফলাফলে দেখা যায়, ভ্যাকসিন নেয়া ব্যক্তিরা নতুন ধরনটির বিরুদ্ধেও রোগ প্রতিরোধে সক্ষম।
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের এই গবেষণায় যে মিউটেশন নিয়ে কাজ করা হয়েছে তার নাম এন৫০১ওয়াই, যা করোনা ভাইরাসের ২টি ধরনেই পাওয়া গেছে। ভ্যাকসিন এই ধরন ২টির বিরুদ্ধেও কার্যকর হবে এমন ধারণাই করা হচ্ছিল, যদিও গবেষকরা প্রমাণ খুঁজছিলেন।
করোনা ভাইরাস প্রভাবের পর যে অনেকগুলো ধরন তৈরি হয়েছে, এই ধরন ২টি তাদের মধ্যে অন্যতম। তাই ফাইজারের কার্যকারিতা যেমন খুশির খবর, তেমনি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করবে সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
নতুন ধরনটিতে একাধিক মিউটেশন রয়েছে তাই এদের সম্মিলিত প্রভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভেঙ্গেও দিতে পারে।
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রাভি গুপ্তা জানান, ‘ব্রিটেনের ৮টি ধরনের ১টি হল এই মিউটেশন এবং এককভাবে এটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখবে এমনটা আশাও করা হচ্ছিল না
(খবর বিবিসির)