বগুড়ায় এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তির চাপ সহ্য করতে না পেরে এক মুদি দোকানদার তার গর্ভবতী স্ত্রী ও শিশুসহ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তির পর গর্ভবতী বুলবুলি বেগম (২২) মারা যান।
আজ(১১ নভেম্বর) বিকেলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জানা যায়, মহিদুল ইসলাম মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়লে স্ত্রীর নামে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গ্রামে মুদির দোকান দেন। কিন্তু দোকানের বেচাকেনা দিয়ে ৫বছর বয়সী এক সন্তান ও গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। একদিকে সংসার চলে না, অন্যদিকে বিভিন্ন এনজিওর কিস্তির চাপে দিশেহারা হয়ে পড়ে পরিবারটি।
গতকাল (১০ নভেম্বর) রাতে মহিদুল তার স্ত্রী, সন্তানকে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট (কীটনাশক ট্যাবলেট) সেবন করানোর পর নিজেও তা সেবন করলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেলে গর্ভবতী বুলবুলি মারা যান।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (ছিলিমপুর) পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এস আই) আব্দুল আজিজ মণ্ডল বলেন, বুলবুলির স্বামী ও সন্তান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।