চাকরির আশ্বাসে বন্ধুদের সঙ্গে বের হয়েছিলেন এক তরুণী (১৯)। পরে তাকে আটকে রেখে টানা ৫দিন তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছেন তার বন্ধুরা। ভুক্তভোগী তরুণীকে বানীশান্তা পতিতা পল্লীতে বিক্রি করে দেয়ার ও চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনায় সুমন শরিফ (২৫) ও মেহেদী হাসান (৩০) নামের ২জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল (২৫ নভেম্বর) রাতে মোংলার শেলাবুনিয়া থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে পুলিশ মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, চট্রগ্রাম ইপিজেডে চাকরির সুবাদে খাগড়াছড়ির মহলছড়ির কালাপাহাড় এলাকার এক তরুণীর সাথে পরিচয় হয় মোংলার শেহলাবুনিয়ার সুমন শরিফ ও মেহেদী হাসানের।
পরিচয়ের সুবাদে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে একপর্যায়ে গত সপ্তাহে ভুক্তভোগী তরুণীকে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ঝিনাইদহের সদরে নিয়ে যায় এই ২ যুবক। সেখানে অপর এক বন্ধুর বাড়িতে ৩ দিন থাকার পর গত মঙ্গলবার তরুণীকে মোংলার শেলাবুনিয়ায় মেহেদী হাসানের বাড়িতে আনা হয়।
মেহেদীর স্ত্রী পরিচয় দিয়ে সেখানে ২ দিন থাকার পর গতকাল বিকেলে ওই তরুণীকে ট্রলারে বানিশান্তা পতিতা পল্লীতে পাচারের চেষ্টাকালে খবর পেয়ে মোংলা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
গতকাল রাতে এ ঘটনায় মামলা দায়ের শেষে আটক যুবকদের বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্নের পর তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) তুহিন মণ্ডল জানান, প্রতারণার মাধ্যমে ফুসলিয়ে আনা তরুণীকে বিভিন্নস্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন আটক ২ যুবক। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে আটকসহ তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।