পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খরচ জোগাতে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায় ২ বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি চুরি করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জাতিসংঘের একটি গোপন প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে।
অপ্রকাশিত প্রতিবেদনটির নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার চাপে থাকা অর্থনীতি সচল রাখতে এবং অস্ত্রের জন্য খরচ জোগাতে কিম জং উনের সরকার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ভার্চ্যুয়াল কারেন্সি এক্সচেঞ্জ হাউসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে।
নাম অনুল্লেখিত জাতিসংঘের একটি সদস্য দেশ অভিযোগ করেছে, উত্তর কোরীয় হ্যাকাররা ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৩১৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের ভার্চ্যুয়াল সম্পদ চুরি করেছে।
উত্তর কোরিয়া ফিসাইল (একটি পারমাণবিক উপাদান) উৎপাদন করেছে, পারমাণবিক স্থাপনা চালু রেখেছে এবং নিজেদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর উন্নয়নও ঘটিয়েছে।
প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল। বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে গোপন সূত্রের মাধ্যমে সিএনএন প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ হাতে পেয়েছে।
প্রতিবেদনে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, একটি দেশের ধারণা, উত্তর কোরিয়া বর্তমানে যেকোনো পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক যন্ত্রাংশ জুড়ে দিতে ‘খুবই সক্ষম’। ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নে উত্তর কোরিয়া ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়িয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে, বিভিন্ন জটিল যন্ত্রাংশ আদান-প্রদানসহ বেশ কিছু কার্যক্রম চালু করেছে ইরান-উত্তর কোরিয়া। ২০২০ সালেই দু’দেশের মধ্যে নৌপথে বিভিন্ন পণ্য দেওয়া-নেওয়া হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েক বছর ধরেই শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র এবং সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। যদিও এগুলোতে বিপুল খরচ এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশ চাপে পড়েছে দেশটি। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে উত্তর কোরিয়াকে কার্যত একঘরে করে রেখেছে জাতিসংঘ। এরপরও পারমাণবিক শক্তিধর হওয়ার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে দেশটি।