বগুড়ার শিবগঞ্জে এক প্রতিবন্ধী বিধবা নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের
শিকার হয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঘরজামাই বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল (৭ জানুয়ারি) তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাদল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাশাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে করে ঘরজামাই থাকতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার রাতে শিবগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা। মামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৪জনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম জাহিদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। অন্য ২জনের নাম গ্রেফতারের পর জানানো হবে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মা বলেন, ‘আমি থানায় অভিযোগ দেয়ার পর থেকেই ইউপি সদস্য জাহিদুল ও তার লোকজন আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ঘটনার এতদিন পরে মামলা দায়ের করার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কাউকে কিছু বললে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছিল বাদল।
জানা গেছে, প্রতিবন্ধী ওই বিধবার ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সাড়ে ৫ বছরের মধ্যে তাদের ২টি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করলেও দেড় বছর আগে হঠাৎ করেই তার স্বামী মারা যান। এরপর থেকেই ওই নারী ২ সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন।
এমন সময় হঠাৎ তার ওপর এলাকার ঘরজামাই বাদল মিয়ার কুনজর পড়ে। এর আগেও বাদল একাধিক বিয়ে করেছের। বাদলের বর্তমান স্ত্রী বগুড়া শহরে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় একাই থাকতেন বাদল। মাঝে মধ্যে তিনি ওই বিধবা প্রতিবন্ধী নারীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এর মধ্যে বাদল ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করতেন।
একপর্যায়ে প্রতিবন্ধী নারী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে পালিয়ে যান বাদল। প্রতিবন্ধীর মা বাদী হয়ে ইউপি সদস্যসহ ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, ‘মামলার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।