বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এর দায়ে মাদরাসা সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তাছাড়া তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আজ (৫ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) রণজিৎ কুমার মণ্ডল জানান, ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট সকাল ৭টায় আরবি পড়ানোর কথা বলে মাদরাসা সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দার তাকে লাইব্রেরিতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
পরে ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে মাদরাসা সুপার ইলিয়াস ওই ছাত্রীকে জিনে ধরার কথা বলে পানি পড়া দেন। এরপর মেয়েটির বাবা-মা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করান। একপর্যায়ে মেয়েটি তার মাকে ঘটনা খুলে বলে।
ঘটনার প্রায় ১১ দিন পর ১৯ আগস্ট মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মাদরাসা সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন। এ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে। পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাইয়েদ প্রায় ২ মাস পর ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর এই মামালার একমাত্র আসামি ইলিয়াস জোমাদ্দারকে গ্রেফতার করেন। ৩দিন পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।
১৩ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দিলে আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ৯ মার্চ চার্জ গঠন করেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে আদালতের বিচারক চিকিৎসক, পুলিশ, বাদী ও বিবাদী মিলিয়ে মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। গত রবিবার (১ নভেম্বর) এ মামলার বাদী-বিবাদীপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালতের বিচারক আজ এ আদেশ দেন।