ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এক তরুণ ভিন্ন ধরনের দৃষ্টান্ত গড়েছেন ।
পশ্চিমবঙ্গের কুলতলি এলাকার ওই তরুণ ধর্ষণের শিকার এক তরুণীকে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই নারী নিজের দাদুর হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
ওই তরুণীর জন্মের পর পরই তার বাবা তাদেরকে ফেলে অন্য একটি রাজ্যে গিয়ে আবার সংসার শুরু করেন। মেয়েকে কষ্ট করে বড় করে তুলছিলেন মা। কিন্তু তার মায়ের মৃত্যুর পর এরপর সেই তরুণী মায়ের বাবার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছিলেন।
২০১৩ সালে নভেম্বরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পরপর ৫দিন তাকে ধর্ষণ করে দাদু। মেয়েটি তখন ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
ঘটনাটি পূর্বপরিচিত ওই যুবককে জানায় নাবালিকা। পরে তার ও একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় নির্যাতিত নারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ওঠেন ওই নারী। ওই যুবকের সঙ্গে তারপরেও তার যোগাযোগ ছিল। ১৮ বছর বয়স হলে মেয়েটি অন্যত্র গিয়ে ওঠেন।
এরপর একদিন ওই যুবকের কাছে বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি রাজি হয়ে যান। হোমের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তরুণী জানালে কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সম্প্রতি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা।