মাদারীপুরের কালকিনিতে ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অনুষ্ঠানস্থলে এরপরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে এরপর পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। গতকাল (৪ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কালকিনি উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে সকালে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। স্থানীয় সার্কিট হাউজ চত্বরে র্যালি শেষে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বাকামিন খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক বিএম জুবায়ে হোসেনের সঞ্চালনায় এক আলোচন সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভার শুরুতে নিয়ম ভঙ্গ করে সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতাদের নাম আগে মাইকে ঘোষণা না দিয়ে জুনিয়র ছাত্রলীগ নেতাদের নাম ঘোষণা দেয়া হয়। এরই জের ধরে ছাত্রলীগের একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি এবং ভাংচুর করে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো অনুষ্ঠানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক ও বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিনের হস্তক্ষেপে এরপরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন জানান, ‘তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হঠাৎ করে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম খলিল না বুঝে মাথা গরম করেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা ফয়সালা করে দিয়েছি। আর নতুন করে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি হয়নি।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিরউদ্দিন মৃধা জানান, অনুষ্ঠানে সিনিয়র-জুনিয়রের নাম আগে-পরে ঘোষণা নিয়ে ছাত্রলীগের নিজেরদের মধ্যে সামান্য একটি ঘটনা ঘটছে।