যশোর-মাগুরা সড়কের গাইদঘাট নামক স্থানে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় ১জন নিহত হয়েছেন।
এতে আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। তাদের মধ্যে ৩জনের অবস্থা আশঙ্জকানক রয়েছে।
আহতরা হলেন- খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার লাখফোটিয়া গ্রামের আলম শেখের স্ত্রী জাহানারা বেগম, চন্দ্রনিমোহর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে রিপন, তেরখাদা উপজেলার মন্ডলগাতি গ্রামের শামীম আহমেদের ছেলে মীর মোহাম্মাদ, যশোর সদর উপজেলার জোদরহিমপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুসের ছেলে ফরহাদ হোসেন কাজল ও চৌগাছা উপজেলার রায়নগর গ্রামের মন্টু মিয়ার স্ত্রী নূরজাহান বেগম।
আজ (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাসচালক সোহাগ গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে।
দুর্ঘটনায় আহত রিপন জানান, ঢাকার গাবতলী থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা দিগন্ত পরিবহনের একটি বাসে তারা গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। বাসটি পথিমধ্যে যশোর-মাগুরা সড়কের গাইদঘাট নামক স্থানে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারে বাসটি।
তিনি আরও বলেন, চালক ঘুম চোখে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। যে কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আহতদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক আশরাফুল আলম বলেন, আজ ভোরে ৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বাসচালক সোহাগ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭টা ৪০ মিনিটে মারা গেছেন।
আহতদের মধ্যে ৩জনের অবস্থা আশঙ্জকানক। প্রয়োজনে তাদের রেফার করা হবে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনায় নিহত বাসচালকের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।