আগামী ১১ মার্চ (২৬ রজব) দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র শবে মেরাজ।
১৪৪২ হিজরির জমাদিউল আখিরা ৩০ দিন পূর্ণ হয়েছে। আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রজব মাস শুরু হলেও আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি পবিত্র রজব মাসের ১ তারিখ গণনা শুরু হবে। এটি হিজরি (আরবি) সপ্তম মাস। যাবতীয় যুদ্ধ-বিগ্রহ, রক্তপাত ও হানাহানি নিষিদ্ধ ৪ মাসের একটিও রজব।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী দেশের সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪২ হিজরির রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য আজ(১৩ ফেব্রুয়ারি) জামাদিউল আখিরা মাস ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। আগামীকাল থেকে রজব মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১১ মার্চ পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।
এক কথায় বলতে গেলে-
রমজানের রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পেতে প্রস্তুতি নেয়ার মাস রজব। রহমতের বার্তাবহী মাস রজব। প্রিয় নবির শ্রেষ্ঠ উপহার ও মুসলিম উম্মাহর জন্য বরকতময় মাস রজব। এ কাণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রজব মাসে আল্লাহর কাছে বিরামহীন বরকতের দোয়া করেছেন।
রজব মাস এলেই রমজান পর্যন্ত বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়েছেন নিজে, তাঁর উম্মতকেও এভাবে বলতে বলেছেন-
اَللهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান; ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শা’বান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত (হায়াত দিন) পৌঁছে দিন।’
বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ মাস হিজরি সপ্তম মাস রজব বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। এ মাসেই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ তাআলা দিদার লাভে ধন্য হয়েছেন। উম্মতে মুসলিমার জন্য উপহার হিসেবে নামাজ পেয়েছেন। নবুয়ত ও রেসালের শ্রেষ্ঠ মুজিজা লাভ করেছেন। এ মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতেই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মেরাজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ ‘শবে মেরাজ’-এর জন্যও এ মাসটি কেয়ামত পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।