নকশাবহির্ভূত স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দ করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ তদন্ত করতে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আগামী ৩১ জানুয়ারি পিবিআইকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম এ আদেশ দেন। গত মঙ্গলবার রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সিটি মার্কেট-২, ব্লক-এ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলুর করা মামলার আবেদন গ্রহণ করে আদালত এ আদেশ দিয়েছে।
সাঈদ খোকন ছাড়াও আরও যে ৬জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে তারা হলেন ডিএসসিসির সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান ও ওয়ালিদ।
মামলার আরজিতে বাদী অভিযোগ করেছেন, ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেটে নকশাবহির্ভূত স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ডিএসসিসিতে যোগাযোগ করলে তৎকালীন মেয়র (সাঈদ খোকন) অন্য আসামিদের সাথে যোগাযোগ করে দোকান বরাদ্দ নেওয়ার কথা বলেন। ব্যবসায়ীরা আসামি কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার ও আতিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সাঈদ খোকনসহ অন্য আসামিরা রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এর এ-ব্লকে নির্মিত নকশাবহির্ভূত স্থাপনাগুলো বৈধতা দেওয়ার কথা জানিয়ে বিভিন্ন সময় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু কোনো দলিলাদি দেননি। পরে তাদের সেসব দোকান থেকে উচ্ছেদ করা হলেও ব্যবসায়ীরা টাকা ফেরত দেয়নি। আর্জিতে ৭জনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অর্থ আত্মসাৎ ও অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।