৪ বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর হঠাৎ করে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রেমিক। এখন তার প্রেমিকা (১৮) বিয়ের দাবি নিয়ে তার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
গতকাল (১৭ নভেম্বর) দুপুরে তিনি কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের বড়-হায়াতপুর গ্রামের সরকার বাড়িতে আসেন।
বিয়ের দাবিতে তিনি ঘুমের ওষুধ খান। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম শম্ভু সরকার। তার বাবার নাম পরেশ সরকার। গতকাল দুপুরে ওই প্রেমিকা তার বাড়িতে আসেন। শম্ভু সরকারের বাড়িতে কোনো লোকজন না থাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মানিক হোসেন একই পাড়ার গ্রাম পুলিশ সুনীল সরকারের বাড়িতে মেয়েটিকে আশ্রয় দেয়। চারদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মেয়েটিকে দেখতে এলাকার লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।
মেয়েটি সাংবাদিকদের জানান, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ৪বছর ধরে শম্ভু সরকার আমার সঙ্গে সম্পর্ক করে আসছেন। সম্প্রতি আমি শম্ভুকে বেশ কয়েকবার ফোন দিলে তিনি আমাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। তাছাড়া আমার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তার কোনো প্রকার খোঁজ খবর না পেয়ে আমি বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে এসেছি।
এ বিষয়ে জানতে শম্ভু সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তার মা সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েটির সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক রয়েছে বলে আমরা জেনেছি। খবর পেয়ে আমার বড় ছেলে ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, গতকাল মেয়েটি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল। তাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়ের পরিবারের লোকজন নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা হয়েছেন এবং পারিবারিকভাবে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে। এরপরও যদি আইনানুগ কোনো পদক্ষেপ নিতে হয় আমরা তা যথাযথভাবে নেব।