শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ফুলহারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বহুতল বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের জমির সীমানা নির্ধারণ না করেই বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের জমির মালিক মৃত সুরুজ্জামানের দুই ছেলে জহুরুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেন বিদ্যালয়ের জমির মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণ করলেও বাধা নেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তবে এ বিষয়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন জমি দাতার পরিবার।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মুক্তার কোচ বলেন, ‘পাহাড়ি জনপদে শিক্ষার আলো ছড়াতে নিজে জমি দিয়ে স্কুল তৈরি করেছি। চোখের সামনে স্কুলের জমিতে বাড়ি তৈরি করছে কিন্তু প্রধান শিক্ষক অন্ধের মতো চোখ বন্ধ করে আছে। আমি বাধা দিলে অন্যের নামে রেকর্ডিও জমিসহ সরকারি রাস্তার জমি বলে চালিয়ে দিচ্ছে। স্কুলের জমি দখলমুক্ত হোক এটাই আমার দাবি।’
জমিদাতা মৃত ঈশ্বর চন্দ্র চৌকিদারের নাতি মুক্তার কোচ প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে দখল মুক্তির দাবি করেছেন। এতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জহুরুল ইসলাম বলেন, জায়গাটা একটু বাকা প্রকৃতির। স্বর্বেশ্বর চন্দ্র কোচের নামে থাকা ৭ শতাংশ জমি কিনে বিদ্যালয়ে দেয়া হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজা বেগম বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের জমির ঝামেলা নিয়ে আগে কিছু জানতাম না। জানার পর ঘর উত্তোলনকারীদের বিরোধ নিষ্পত্তির আগে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুইয়া বলেন, উভয় পক্ষের কাগজপত্রাদি দেখে সরেজমিন তদন্ত করে বিদ্যালয়ের সরকারি রাস্তা উদ্ধারসহ সীমানা নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।